
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৫ই আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশ যখন একদিকে ফ্যাসিস্ট এর দোসরদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে নিযুক্ত রাস্ট্রদূত নজরুল ইসলামের পৃস্টপোষকতায় ফ্যাসিস্টের উত্তান অব্যহত থাকা সচেতন মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কাতার কমিউনিটিতে সামগ্রিক অচল অবস্থার জন্য কাতার নিযুক্ত রাস্ট্রদূত নজরুল ইসলামের আওয়ামী প্রীতি প্রকটভাবে সামনে এসেছে বলে জানা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায় কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির একমাত্র বাংলাদেশী শিক্ষা প্রতিসঠান BMHM স্কুল & কলেজের সীমাহীন অব্যবস্থাপনা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। উল্লেখ্য কমিউনিটির একামাত্র শিক্ষা প্রতিসঠানটির পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতারের হলেও বৃহত্তর কমিউনিটিকে পাশ কাটিয়ে প্রতিসঠানটি দূতাবাস দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিউনিটি বিশিষ্ট জনের আশংকা হলো- স্বেচ্ছাচারীতা এবং জবাবদিহিতার অভাবে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে প্রতিসঠানটি। সত্র জানায় – এই দূর্নীতিকে আড়াল করতে দূতাবাসের দূর্নীতি গ্রস্ত কর্মকর্তারা নাম সর্বস্ব্য গভের্নিং বডি তৈরী করে নিজেদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব এবং কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। যার ফলশ্রুতিতে বিগত বছর গুলোতে ব্যাপকভাবে SSC এবং HSC এর ফলাফল বিপর্যয় ঘটে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রনালয় গত ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বরে সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভের্নিং বডি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন। এবং ৪ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে কাতারে নিযুক্ত রাস্ট্রদূত( যিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন) গভের্নিং বডি (GB) বহাল রাখে এবং GB এর মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়া স্বত্বেও তার কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। যা সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশ অন্তর্বতী সরকারের সিদ্ধান্তের বিপরীত। সুত্র হতে আরো জানা যায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের শেষের দিকে আওয়ামী দোসরদের নেতৃত্বে দূতাবাসের পৃস্টপোষকতায় বেশ কটি অভিভাবক সংগঠন গড়ে উঠেছে। আর এ সকল ভূঁইফোড় সংগঠনের নেতৃত্বে আছে চিহ্নিত আওয়ামী দোসররা।এই সংগঠন গুলোর মধ্যে, কাতার আওয়ামী পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি শহিদুল্লাহ হায়দার এবং আওয়ামীলীগ নেতা মো.নুর ওরফে টয়োটা নুরের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিভাবক ফোরাম এবং কাতার বংগবন্ধু পরিষদের সভাপতি সেলিম ওরফে বাঘা সেলিম এবং কাতার আওয়ামীলীগের তৃতীয় শ্রেনীর নেতা বা কর্মী আসাদুজ্জামান রাসেলের নেতৃত্বে গার্ডিয়ান্স নামক সংগঠন দুটো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেলিমের নিজ জেলা ফেনীর সাধারন মানুষের তত্ত্ব মতে গার্ডিয়ান্স এর সেলিম আওয়ামী সন্ত্রাসী প্রয়াত জয়নাল হাজারীর কিলিং মিশনের একজন সক্রিয় সদস্য। যে দীর্ঘদিন যাবত কাতারে পলাতক রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সচেতন অভিভাবক অভিযোগ করেন – দূতাবাস জেনে বুঝে এই ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করে আসছে যাতে করে শিক্ষা প্রতিসঠানটিকে ফ্যাসিস্ট আমলের মত দূর্নীতির আখড়া বানিয়ে কায়েমি স্বার্থ প্রতিসঠা করা যায়। আমরা আরো জানতে পারি ১৬০০ এরও অধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অবহিত না করেই রাস্ট্রদূত নজরুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট দোসরদের দ্বারা গঠিত অভিভাবক সংগঠন দুটির চিহ্নিত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আসন্ন PTA ( Parents Teacher Association) এবং গভের্নিং বডি ( GB) গঠনের পায়তারা শুরু করেছে। যাতে জবাবদিহিতা ব্যতিরেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের মত চালানো যায়। গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের শ্রমে – ঘামে প্রতিসঠিত একমাত্র কমিউনিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দিনে দিনে ধ্বংসের দাঁড় প্রান্তে দাঁড়িয়ে। এখনি যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে অচীরেই প্রতিসঠানটি মুখথুবড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। দূর্নীতিবাজ ফ্যাসিস্ট এর চিহ্নিত দোসরদের হাত হতে তথা প্রতিসঠানটিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অন্তর্বতী সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী বলে অভিভাবক মহল সরকারে নিকট জোড় দাবী জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





