
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে ১৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আসাদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ধর্ষক আসাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরী সাদিয়া (ছদ্মনাম) স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সাদিয়ার বাবা মো. সালাউদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আসাদ তার মেয়ে সাদিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসাদ সাদিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং একটি আবাসিক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা পরিবার আসাদের বাবা জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চাপ প্রয়োগের পর গত ১০ আগস্ট জাকির হোসেন ঢাকা থেকে আসাদ ও সাদিয়াকে চরফ্যাশনে নিয়ে আসেন এবং তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। সাদিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই জাকির হোসেনের পরিবার ভুক্তভোগী পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে বলে অভিযোগ করেছেন সাদিয়ার মা হাসিনা বেগম। তিনি বলেন, "ছেলে-মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকে তারা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং হুমকি দিচ্ছে। জাকির হোসেন আমার স্বামীকে মারধরও করেছেন এবং বলেছেন, 'এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বা মামলা করার চেষ্টা করলে এলাকাছাড়া করব'।" হাসিনা বেগম আরও জানান, জাকির হোসেন স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতার মাধ্যমেও তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। পরিবারটির অভিযোগ, তারা এই ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে স্থানীয় থানা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি। স্থানীয়দের মতে, জাকির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়শই মানুষের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হন সাদিয়ার পরিবার এখন ন্যায়বিচারের জন্য আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মারধরের ঘটনায় তারা আদালতে একটি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী ধর্ষক আসাদের কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছে। এই ঘটনায় জড়িত সকলের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
সম্পাদকঃ এস এম মাহমুদুর রহমান
দৈনিক কর্ণফুলী সংবাদ