
ঢাকা প্রতিনিধিঃ কাজী আশরাফুল হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া শেখ হাসিনার সাজা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমির হোসেন। বুধবার (২ জুলাই) রায়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট নই। রায় দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
ট্রাইব্যুনাল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকেও একই মামলায় দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। অপর দুই বিচারপতি ছিলেন মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও মো. শফিউল আলম মাহমুদ। রায়ে বলা হয়, আদালতের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা, মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বা গ্রেপ্তার হলেই সাজা কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি এমন একটি অডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। গত ২৫ মে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হলেও কেউ উপস্থিত হননি। পরে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের ৩ জুন সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুনানিতে শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে ছিলেন আমির হোসেন এবং অ্যামিক্যাস কিউরি ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। এটাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের আদালতে প্রথম কোনো দণ্ডের রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





