০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর : নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বর্ষপূর্তি

ঢাকা প্রতিনিধিঃ কাজী আশরাফুল হাসান, আজ ১ জুলাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর। গত বছরের এই দিনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র-আন্দোলনের সূচনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। আন্দোলনের সূত্র ধরেই দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনকালে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়। শুরুতে আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিলেও ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে চিত্র পাল্টে যায়। রাজপথ কাঁপানো স্লোগান, মহাসড়ক অবরোধ, শহীদ মিনার ঘিরে সমাবেশ সব মিলিয়ে এটি রূপ নেয় একটি সর্বাত্মক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে। সেদিন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ঘুম হারাম হয়ে গেছে তাদেরআজ সেই বক্তব্য নিয়ে নানা মহলে নতুন করে আলোচনা চলছে কেন্দ্রীয়  গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত বিশাল মিছিল, বৈষম্যবিরোধী স্লোগানে মুখর ছিল ক্যাম্পাস। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চার দফা দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয় হাজারো শিক্ষার্থী। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গঠিত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যা ক্রমেই জাতীয় পর্যায়ে রূপ নেয়। বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন আন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও আপ বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচি:
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণ,
স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন,
আলোচনাসভা,
৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিজয় মিছিল।

বিএনপির কর্মসূচি:
আলোচনা সভা,
রক্তদান,
পথনাটক,
শিশু অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠান,

১ জুলাই সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ আয়োজন।

এনসিপির কর্মসূচি:
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা
শহীদ কবর জিয়ারত,
শহীদ পরিবার পরিদর্শন।

শিবির, গণঅধিকার পরিষদ ও আপ বাংলাদেশ:
গ্রাফিতি, ছবি প্রদর্শনী,
রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা,
সাহিত্য প্রকাশনা,
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রচার ও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর : নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বর্ষপূর্তি

সময় : ০৯:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

ঢাকা প্রতিনিধিঃ কাজী আশরাফুল হাসান, আজ ১ জুলাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর। গত বছরের এই দিনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র-আন্দোলনের সূচনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। আন্দোলনের সূত্র ধরেই দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনকালে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়। শুরুতে আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিলেও ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে চিত্র পাল্টে যায়। রাজপথ কাঁপানো স্লোগান, মহাসড়ক অবরোধ, শহীদ মিনার ঘিরে সমাবেশ সব মিলিয়ে এটি রূপ নেয় একটি সর্বাত্মক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে। সেদিন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ঘুম হারাম হয়ে গেছে তাদেরআজ সেই বক্তব্য নিয়ে নানা মহলে নতুন করে আলোচনা চলছে কেন্দ্রীয়  গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত বিশাল মিছিল, বৈষম্যবিরোধী স্লোগানে মুখর ছিল ক্যাম্পাস। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চার দফা দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয় হাজারো শিক্ষার্থী। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গঠিত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যা ক্রমেই জাতীয় পর্যায়ে রূপ নেয়। বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন আন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও আপ বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচি:
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণ,
স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন,
আলোচনাসভা,
৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিজয় মিছিল।

বিএনপির কর্মসূচি:
আলোচনা সভা,
রক্তদান,
পথনাটক,
শিশু অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠান,

১ জুলাই সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ আয়োজন।

এনসিপির কর্মসূচি:
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা
শহীদ কবর জিয়ারত,
শহীদ পরিবার পরিদর্শন।

শিবির, গণঅধিকার পরিষদ ও আপ বাংলাদেশ:
গ্রাফিতি, ছবি প্রদর্শনী,
রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা,
সাহিত্য প্রকাশনা,
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রচার ও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান।