প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০২৫, ৩:৪৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২১, ২০২৫, ৩:৫৮ এ.এম
চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় শহিদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
চট্টগ্রাম নগরীতে এক সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে তার দুই চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮ জুন (বুধবার) রাতে
ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ বন্দরটিলা শাহ প্লাজায় ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে ডেকে পরিকল্পিত ভাবে শাহ প্লাজার ইনচার্জ মনির হোসেন গং এ হত্যাচেষ্টা করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে ইপিজেড থানায় অভিযোগ দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।অভিযোগে বলা হয়, ‘অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শাহ প্লাজার ইনচার্জ মনির হোসেন তাদেরকে হত্যচেষ্টা করে। এ বিষয়ে ইপিজেড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, ‘মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পরিকল্পিত ভাবে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে আজ ২০ জুন (শুক্রবার) বিকেলে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি কে এম রুবেল। বন্দর জোন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বর্তমান সভাপতি জাফরুল ইসলাম জাহিদ। চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রচার সম্পাদক মোঃ দিদার আলম। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বন্দর জোন কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বন্দর জোন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের। শেখ আহমেদ সাকিল। মোঃ শহিদুল ইসলাম লিটন। মোঃ আবুল বাশর, মোঃ শাহেদ, মোঃ রিয়াজ সিকদার, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ আল আমিন ব্যাপারী, আয়মান হোসেন, ফারুক আহমেদ ডালি, আল আমিন হোসেন সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতা কে এম রুবেল বলেন, আমি প্রথমত এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি মনে করি এটা একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে আইনগতভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে শাহ প্লাজারের ইনচার্জ মনির হোসেন গাং হত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে কথা বলে আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি বলে জানান তিনি। সাংবাদিক নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।